কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায়ও কি করে ছাত্ররা ছাত্রাবাসে থাকে এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ছাতক থেকে প্রধান আসামি সাইফুর গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার রাত ৮টায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা এক দম্পতিকে কতিপয় ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্ত স্বামী-স্ত্রীকে কলেজ ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে করে তারা ঐতিহ্যবাহী এই কলেজকে কলুষিত করেছে। আমারা উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনার সময়ে যেখানে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সেখানে সিলেট এমসি কলেজের মত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে যেভাবে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সর্ব্বোতভাবে নির্যাতিতা ওই নারী ও তার পরিবারের পাশে থেকে যতটুকু আইনি সহায়তা দেয়া প্রয়োজন তা করতে প্রস্তুত আছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আরেক আসামি অর্জুন হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার
পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকাকালীন সময়ে কিভাবে দুর্বৃত্তরা স্বামী-স্ত্রীকে ধরে নিয়ে ছাত্রাবাসে প্রবেশের সুযোগ পেল তা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি বলা হয়, ‘আমরা সিলেট এমসি কলেজের দায়িত্বহীন অধ্যক্ষ ও ছাত্রবাসের সুপারের পদত্যাগ দাবি করছি।’
অপরাধীদের শাস্তির দাবি করে আরও বলা হয়, ‘ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা কোনো দলের হতে পারে না। ধর্ষকদের কোনো দল নেই। তাদের পরিচয় একটাই তারা ঘৃণ্য অপরাধী। অনতি বিলম্বে এই ঘৃণ্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’